Posted at 29th- Jun- 2020 Time 12: 04 am
Views 2424 times
তখন যুগ হুমায়ন আহমেদ , ডঃ জাফর ইকবাল আর তিন গোয়েন্দার । কিছু ভাগ্যবান বন্ধুরা ততদিনে পড়ে ফেলেছে বড়দের বই মাসুদ্ রানা । প্রাইমারী তে ছিল নন্টে ফন্টে, চাচা চৌধুরী , বাটুল দের কমিক্স বই এর চল।ক্লাস ৮ থেকে পুরোদমে গল্পের বই পড়া শুরু,মানে কবজি ডুবিয়ে বই পড়া, চলেছে ভার্সিটির প্রথম ২ বছর পর্যন্ত , এর পর ভাটা পড়ে পড়ায় । কারন ভর্তি হয়েছি কম্পিউটার সায়েন্স এ , ধ্যান জ্ঞান কম্পিউটার । সারাদিন ভার্সিটির পড়া পড়ি আর না পড়ি, কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকা হয়ে । তাই গল্পের বই পড়া হয়ে গেল সীমিত, সিডি আর ইন্টারনেট দখল করে নিল সেই সব জায়গা।যাক সেইসব নিয়ে আরো কথা হবে অন্য কোন পর্বে।
আজ শুধু গল্পের বই, আসলে গল্পের বই এর চরিত্র গুলো নিয়েই কিছু বলি । গল্প পড়তে পড়তে নিজেরাই চরিত্রে ঢুকে যেতাম মনে হয়।
তিন গোয়েন্দা পড়ে নিজেরাই করে ফেললাম গোয়েন্দা বাহিনী । আমার ইউ এস এ প্রবাসী চাচা তখন আমার জন্য ওয়াকি টকি (সীমিত নেটওয়ার্ক কাভারেজ) পাঠান, আর ঐটা তখন হয়ে যা আমাদের গোয়েন্দা টিম এর জন্য বিশাল সম্পদ, ঐ টা যে এর পর কই গেল তা খুজতে আরেকটা গোয়েন্দা টিম গঠন করা লাগবে। কি বলিশ Lokankara Dhar ?
জাফর ইকবার স্যার এর দীপু নং -২ , আমাদের সময়ের বিখ্যাত কিশোর উপন্যাস । ঐ গল্পে পানির ট্যাঙ্কি এর উপর উঠার একটা অংশ ছিল । গল্প টা আমাদের মুখস্ত করার জন্য বেশ সাহায্য করেছিল M Zaidul Alam , আমাদের স্কুলের ১ম বালক (1st boy) যে বেতনের দিন আমাদের গল্প শুনাত, শুনতে শুনতে আমরাও গল্পের মত করে ফেললাম । না আমরা কোন গুপ্তধন খুজে বের করি নাই। মতিঝিল এজিবি কলোনীর মধ্যে এক পানির ট্যাংকির উপর উঠে আড্ডা দেয়া শুরু করলাম । সেই সোজা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠা আর অইখানে বসে আড্ডা দেয়া চলল কয়েকদিন। এর পর আমাদের জ্বালায় হোক আর যে কারনেই হোক ঐ ট্যাংকির সিড়ি ভেঙ্গে ফেলা হলো। এর মাধ্যমে শেষ হলো আমাদের আরেক তথাকথিত এডভেঞ্চার । মনে পড়ে ? Nurol Haq Shamrat Ismail Hossain M Zaidul Alam Meherul Islam Sohel
এখন এ্যাত সুপার কম্পিউটার চলে এসেছে , কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না,
চাচা চৌধুরীর ব্রেন কম্পিউটার এর চেয়েও প্রখর
আর মাসুদ রানা পরে সোহানার সাথে মনে মনে প্রেম করে নাই এমন কেউ আছে নাকি ??
আজ নাহলে এই পর্যন্তই...।।